জুলাই ১৮ রাতের বিছানা :: ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় এখন ডায়েরি পেন এবং হাতের কালো প্রতিচ্ছায়া, শরীরের যে অংশ নড়েচড়ে, তার ছায়াস্পন্দনে কোনো অতীত ফুটে উঠলো কি, কোথায় কিশোরবেলা, এখন তো উলঙ্গ হয়ে আয়নায় নিজের শরীর দেখি না, চোখের উপরে ভ্রুর রোমকূপ জুড়ে ঘাম জমলেও স্বপ্ন আসে, বাড়ে এরপর পরিবর্তিত হয় অথবা বিদায় নেয়, বিদায়ী ডানার পালকে বেঁধেছি অভিনব কণ্ঠস্বর, আমায় ডাক দিও, স্মরণ করো না আমাকে, ঠিক ততক্ষনই, যতক্ষন তোমাদের ডাকে আমার চিন্তাভাবনা হাজির হতে পারে, এভাবেই, যেভাবে পিঁপড়ের পোদে জমা এসিড জ্বালা ধরায় তোমাদের ত্বকে, সেভাবেই মেঘেদের কালো টুপি খুলে সম্মান জানাতে হয়, তার প্রতিচ্ছায়ায় পাওয়ার টিলার আবাদে ব্যস্ত থাকে, অরুণিমা, এখন কী তুই ব্যস্ত আছিস, তোর কাছে ব্যস্ততা মানে ভোর কেন রে !
হিজিবিজি :: সৌমিত্র রায়
Monday, 26 March 2012
Monday, 6 February 2012
শব্দকবিতা-৬
[শব্দকবিতা ৬ শব্দসূত্র: আউনি বাউনি, তিন দিন পিঠে ভাত খাবে,কোথাও না যাবে, ঘরে...]
সিংহপুর ১৪.০১.০৩ সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ @ হায় তুললাম, লক্ষ করুন এর পরবর্তী যে নৈ:শব্দ তার সিংহভাগ সঞ্চিত থাকছে এইসব শব্দের ভেতর, আউনি শব্দের মধ্যবর্তী অক্ষর ছুঁয়ে অধিক অম্লঢেকুর উঠে, তোমরা সবাই পিঠে করে ব্যস্ত থাকো, আমি অনুসরণ করি বাউনি খড়ের সাথে ঘরের ছাউনির বাৎসরিক কথোপকথন, হয়তো বলে তিনকোনা পৃথিবীর কথা, সান্ধ্য জ্যোৎস্নার সাথে আমি বলি তৃতীয় সভ্যতার কথা, সিড মেয়ার তোমার গেম থেকে বিচ্ছুরিত ক্লান্তি কুয়াশার সাথে দিনযাপন করে, মকরস্নানের পরবর্তী সময়ে আমার পিঠে ভাত খাওয়া নয়, অন্য কিছু, কোথা কবে কে জানে কে মেঘের সাথে করেছিল গোপন আত্মীয়তা, ছিন্ন করি সমস্ত সংযোগ, সে তো অনেকেই পারে, নিয়ত যাওয়া-আসার ভেতর শায়িত স্বপ্নের শিরদাঁড়ায় লাথি মারি, কবিরা রুগ্ন হয় কামুক হয়, অলস সময় নিয়মিত গ্রাস করে পড়ে থাকে ঘরে, হায় তুললাম, বিতর্ক জারি রাখি নিজে নিজে ।
অধরা সময়, অধরা ......
সিংহপুর নভেম্বর ৩০ সন্ধ্যা ৭টা ৪২ >অধরা সময়,অধরা আত্মবিন্দু
অতিক্রম করে অনেক কিছুই অতীত হয়ে যায়,একটা স্বপ্নের রেনু ছুঁয়ে অন্য
স্বপ্ন আসে,আবার স্বনাবিন্দু কখনো বা সময়কে নাড়িয়ে যায়,তার
কম্পনরেখা থেকে বিচ্ছুরিত অহংকার শুষে নিয়েছে ব্যবহৃত পলিপ্যাক,তার
ঢেউ ছুঁয়ে যায় লোডশেডিং আর মোমবাতির আলো,একটু অন্য কথা : যে
সমস্ত শব্দ ভাষা কিংবা বক্তব্যকে আমাদের বোধশক্তি আড়ালমুক্ত করার
উৎকণ্ঠায় চেতনাতে নাড়া দেয়, সেই সবই তো কবিতা, আবার কবিতায় :
এই মুহুর্তে কোথাও কোনো ঘুমের গন্ধ নেই, নেই অচেতন কল্পনাও,কোথায়
কোনো দূরবর্তী স্থানে বসবাস করে কথাকলি আর অরুনিমা, নেই, তবুও
তাদের অনুপস্থিতির উপস্থিতি তফাৎ খোঁজে স্বপ্ন এবং আলোর গতিপথের,
পথ নেই অথচ পথিকের ঘামগন্ধ ছাড়িয়ে আছে বাতাসে, ক্লান্ত বাতির শিখায়
জড়িয়ে আছে ঠিকেয় ধানকাটা-ধানতোলা দিনমজুরের শ্রমচিহ্ন, সেইসব চিহ্ন
ধরে অতীতকে জানতে চাই, জলন্ত মোমের বাতি, গলে পড়ছে মোম আর
শিখার আগুনে পুড়ে যাচ্ছে অন্ধকার, সত্যিই কি পুড়ে যাচ্ছে,কিচ্ছু বোঝা
যায় না, শুধু বোঝা যায় সমযের ছাল চমড়ায় পোড়া দাগ,কালো ।
Subscribe to:
Posts (Atom)